Friday, April 13, 2018

আমি এখন / পুনর্জন্ম…

হাসরের মাঠে যখন জেগে উঠলাম
এপোকেলিপ্সের রাতে
ঝলমলে সাদা পোশাকে ইশ্বর বাবু জিগ্যেস করলেন
বাছাধন জানোই তো কোথায় যাবে ?
সোজা চোখ রেখে বললাম
জন্নত,কিংবা হেভেন
নতুবা স্বর্গই সই
নীচে তখন অবিরাম প্রজ্জলিত আগুন,
উপরে অদেখা জন্নত।
তিনি বললেন- “কিতাব পড়োনি ?
জাননা কিছুই ?
যীশু আমি অস্ত্র ধরেছি
আমিই হজরত ভেঙ্গেছি পুতুল
শিব হয়ে করেছি তাণ্ডব
তুমি কি করেছো সব জানা আছে মোর
আপোষ, আপোষ আর আপোষ”।
“মাফ করো খোদা, হে আমার ঈশ্বর
যে কিতাব পড়েছি আমি
তাতে নেই ওসব কথা-
শুধু বলা আছে-
সকলই তোমারই ইচ্ছা ,নিমিত্ত মাত্র আমি
পাতাও নড়ে তোমার ইচ্ছায় হে অন্তর্যামী”।
তিনি আশ্চর্যান্বিত হলেন
তারপর মেঘমন্দ্র সুরে উচ্চারিলেন বানী-।
“কয়ামত কে পেছনো হোল অনির্দিষ্ট কাল
কে বলেছে বাঁচতে হবে হয়ে ভেড়ার পাল?’
তারপর….
এবার আমি রথের চাকা ঠেলছি।

Wednesday, April 4, 2018

খেয়ালি আঁচড়



শহরের কি ফুসফুস আছে? আজ মাইক্রো টিচিং এ কেউ  বোঝাচ্ছিল লিভিং, ননলিভিং অবজেক্ট এর ফারাকসে তখন দুপুরবলছিলো  লিভিং অবজেক্ট এর গ্রোথ আছেমানে ওরা বাড়েতখন বেশ লেগেছিলসন্ধ্যায় যখন রবীন্দ্র ভবন - শিশু উদ্যান চত্বরে গেলাম,চারপাশটা দেখে চমকে উঠলামতাহলে কি শহরটার প্রাণ আছে? সাংবাদিক স্কোয়ার নামাঙ্কিত নতুন জায়গাটা ছেড়ে এক্কেবারে কোনটায় বসলাম

সিগারেট টা ধরিয়ে আকাশের দিকে ধোঁয়া ছাড়তেই দেখলাম - উঁচুতে এক সাদা চুল বুড়ো আমায় চোখ মারছেধোঁয়াটা সরে যেতেই স্পষ্ট হোল ব্যাপারটাকে এফ সি' গ্লো সাইন অনেক উঁচুতে।সামনে বিরাট বাঁশের মাচা লাগানো,আর তাতেই বুড়োর আদ্ধেকটা চোখ ঢাকা পড়ে আছে।নিশ্চিত হয়ে আর একবার টান দিলাম।আবারো বুকের ভেতরে জমে থাকা দীর্ঘশ্বাস আমার ফুসফুস ছেড়ে ছড়িয়ে পড়লো শহরটার চোখে মুখে আর তার বর্ণালী আল্পনা আঁকা বুকে।আবছা ধোঁয়ায় দেখলাম সারি সারি বাইসাইকেল।ছাপা শাড়িতে আমার মা,পাশে ফ্রক পড়া আমার বোনেরা বই মেলামুখী হেঁটে চলেছে আমার মৃত পিতার পেছনে
ঘুড়ির মতো পলকা হাওয়ায় গোত্তা মেরে ধোঁয়া সরে যেতেই বাইসাইকেল উধাও, সামনে শুধু বাইকের সারি- লাল,নীল,মোটা,সিরিঙ্গে।আর হেঁটে চলেছে অনেক অজানা ব্লু জিন্স,ঢোলা ঢালা কুর্তি
কেমন ছমছম করে উঠলো গা' টা।সিগারেটটাকে কেঁচোর মতো থেঁতলে দিয়ে উঠে দাঁড়ালাম।আবারো কি রন্দেভ্যু? চুলগুলো বা'হাতে পেছনে ঠেলে নিশ্চিত হলাম।তা নয়।কিন্তু সামনের রিকশাওয়ালা, আইসক্রিম ওয়ালা,বাঁশিওয়ালা, আর বাতি চানাচুরদানীর পেছনের লোকটা?ওরা কি অমর? না ক্রায়নাইজেশনে রেখে দেয়া কিছু মানুষ?
পেছন থেকে সঙ্গী সাগরিকা আর সিদ্ধার্থের ডাকে ভাবনায় ছেদ পড়লো।যেতে হবে। খোঁড়া পায়ে বাইক চালাতে চালাতে ভাবছিলাম- নিশ্চিত শহরটার প্রাণ আছে- ওটা যে বাড়ছে।তাহলে ওরা? সেই রিকশাওয়ালা, আইসক্রিম ওয়ালা,বাঁশিওয়ালা, আর বাতি চানাচুরদানীর পেছনের লোকটা?ওরা কি প্রাণীদেহের সেই অংশ জন্মের পরেও যার বিকাশ গতি চলে বড় ধীর ? মনে মনে ভাবলাম জীববিদ্যা পড়ে দেখতে হবে
4/4/2018